ইসরায়েলে বোমা ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা বন্ধে আলোচনা সত্ত্বেও এই অস্ত্রের চালান ইসরায়েলে পাঠাতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ইসরায়েলে পাঠানোর অপেক্ষায় থাকা এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এমকে-৮২ বোমা, কেএমইউক-৫৭২ জয়েন্ট ডিরেক্ট অ্যাটাক মিউনেশনস ও এফএমইউ-১৩৯ বোমা ফিউজ। এসব অস্ত্রের আনুমানিক বাজারমূল্য কয়েক লাখ ডলার।
তবে এসব অস্ত্র এখনো প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অস্ত্র পাঠানোর প্রস্তাবটি কংগ্রেসনাল কমিটির নেতাদের অনুমোদন পেতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিস্তারিত এই প্রস্তাবে পরিবর্তন আনা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
কংগ্রেসনাল নেতাদের মূল্যায়নকে পাশ কাটিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে ইসরায়েলের কাছে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্র বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল এসব অস্ত্র ব্যবহার করে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা ও জখম করবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এর আগে গত মঙ্গলবার ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে সহায়তার জন্য ৯৫ বিলিয়ন (সাড়ে ৯ হাজার কোটি) ডলারের একটি বিল অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট। বিলটি রিপাবলিকান পার্টি নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে পাঠানো হবে। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন ওই দিন বলেছিলেন, কংগ্রেস থেকে বিলটি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দপ্তরে পাঠাতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।
ইসরায়েল জানিয়েছে যে তারা শিগগিরই মিসরের সীমান্তবর্তী গাজা উপত্যকার দক্ষিণ শহর রাফায় স্থল আক্রমণ শুরু করবে। এই শহরে ইসরায়েলি হামলায় গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার আনুমানিক ১৪ লাখ বাস্তুচ্যুত আশ্রয় নিয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। জিম্মি করা হয় ২৫৩ জনকে। কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় ইতিমধ্যে অনেক জিম্মিকে ছেড়ে দিয়েছে হামাস। হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ওই দিনই গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন