চিরকুট লিখে চুরি, টাকা দিলেই মেলে চুরি যাওয়া মিটার

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি চক্রের অত্যাচারে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও সেচযন্ত্রের মালিকসহ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। চোরেরা মিটার চুরির পর সেখানে মোবাইল নম্বরসহ চিরকুটে লিখে দিয়ে যাচ্ছে টাকা দিলেই মিটার পাওয়া যাবে। আর চোরের দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করে অনেক ভুক্তভোগী বিকাশে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ফেরৎ পাচ্ছেন চুরি যাওয়া মিটার। এমন ঘটনায় আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ কৃৃষক, সেচপাম্প ও চাতাল মালিকসহ স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।

সম্প্রতি উপজেলার হরিরামপুর, নাকাই, ফুলবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বেশ কিছু এলাকা থেকে গ্রাহকের বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটছে। সংঘবদ্ধ এই চোরেরা মিটার নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে চিরকুটে মোবাইল নস্বর লিখে দিয়ে যায়। ওই নম্বরে টাকা পাঠালেই ফেরৎ পাওয়া যাবে চুরি যাওয়া মিটার। ভুক্তভোগীরা চিরকুটে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করে ফেরৎ পাচ্ছেন মিটারও।

তবে নিরীহ ও অসচ্ছল ব্যক্তিরা টাকা দিতে না পারায় বিড়ম্বনায় পড়ছেন। পৌর শহরের শিববাড়ী এলাকার যমুনা অটোরাইস মিলের মালিক নিরাঞ্জন কুমার তার মিটার চুরি গেলে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো ফলাফল না পেয়ে চোরের দেওয়া নম্বরে ৫ হাজার টাকা দিয়ে চুরি যাওয়া মিটারটি ফেরৎ পেয়েছেন।
এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন হরিরামপুরের রফিক, জাহিদুল ও খলিল মিয়াসহ বেশ কয়েকজন কৃষক ও সেচপাম্প মালিক। তারা এই চোর চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, মিটার চুরির ব্যাপারে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। খুব দ্রুত এই চোর চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *