দক্ষিণ গাজায় জাতিসংঘের একটি খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ জনের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় এক জাতিসংঘ কর্মীও নিহত হয়েছে।
তবে ইসরায়েল দাবি তারা ওই হামলায় এক হামাস নেতাকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি মতে নিহত ওই হামাস নেতার নাম আবু হাসনা। তিনি ইসরায়েলি সেনাদের অবস্থান সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতেন বলেও দাবি তেল আবিবের।
এক বিবৃতিতে হামাসও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। হামাস বলেছে, আবু হাসনা গাজার পুলিশ বাহিনীর সদস্য ছিলেন। এই হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধারা। হামাস দাবি করে এতে গাজার ত্রাণ বিতরণ ভয়াবহ সংকটে পড়বে।
নিহত পাঁচ জনের মধ্যে আরেক জনকে রাফাহর জরুরি সেবা কমিটির প্রধান বলে চিহ্নিত করেছে হামাস। আর জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক সহায়তা সংস্থা জানিয়েছে, রাফাহ তাদের এক সেবা ইউনিটের প্রধানকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। যে অঞ্চলে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র জুলিয়েট তোমা বিবিসিকে বলেছেন, হামলার সময় ৬০ জন লোক এই স্থাপনাটিতে কাজ করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া এই স্থাপনাটিকে খাদ্য এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামের গুদাম হিসাবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ইউএনআরডব্লিউএ স্টাফ সামি আবু সেলিম বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এটি ইউএনআরডব্লিউএ’র একটি কেন্দ্র, এটি নিরাপদ থাকবে হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কেউ কেউ পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যের অভাবগ্রস্ত লোকেদের জন্য সাহায্য বিতরণের কাজ করতে এসেছিল। হঠাৎ তাদের ওপর দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়।’