শীত বিদায়ের পর ঝিনাইদহে শিশুদের নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, শ্বাসকষ্ট ও ডায়েরিয়া রোগ বেড়েছে। আড়াইশ শয্যার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে বরাদ্ধ শয্যা আছে ৪০টি। এর বিপরীতে প্রতিদিনই রোগী ভর্তি থাকছে ১২৫-১৩০ জন। কোনো কোনো দিন এর চেয়েও বেশি রোগী ভর্তি থাকছে। ফলে দেখা দিয়েছে শয্যাসংকট। বাধ্য হয়ে শিশু রোগীদের ওয়ার্ডের ভেতর মেঝেতে রেখে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, শিশুদের প্রয়োজনীয় সব ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় না। রোগীর স্বজনদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনে চিকিত্সা করতে হচ্ছে।
এক শিশু রোগীর মা নুরজাহান বেগম জানান, তার শিশুকে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে। ১৫ দিনেও সুস্থ হয়নি। সব ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে না। বাইরে থেকে ১৫ হাজার টাকার ওষুধ কিনতে হয়েছে। আরেক অভিভাবক রাশেদা বেগম বলেন, তার শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। তাদের এলাকাতে আরো শিশু জ্বর-কাশিতে ভুগছে। অন্য এক শিশুর মা সনিয়া বেগম বলেন, তার ছেলে জ্বর-কাশিতে ভুগছে। এখন মাথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। ডাক্তার ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলছেন। কিন্তু ঢাকায় নিয়ে চিকিত্সা করার সামর্থ্য তাদের নেই। বাধ্য হয়ে এখানেই চিকিত্সা করাচ্ছি।
সিনিয়র নার্স নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, শিশু ওয়ার্ডে মাত্র দুই জন নার্স রয়েছে। কিন্তু শিশু রোগীর সংখ্যা অত্যধিক বেড়েছে। ফলে মাত্র দুই জন নার্স দিয়ে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। শিশু ওয়ার্ডের কন্সালট্যান্ট ডাক্তার মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। এ কারণে শিশুরা নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, জ্বর ও শ্বাসযন্ত্রের রোগ বেড়েছে। তিনি মায়েদের শিশুদের ঠান্ডা থেকে সাবধানে রাখার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে শিশুদের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে হাসপাতালে আনতে বলেন।