রাজধানীর সন্নিকটে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরেই অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা। স্থান সংকুলান না হওয়ায় টঙ্গী ময়দানের পাশাপাশি উত্তরা দিয়াবাড়ি বউবাজার এলাকায়ও প্রস্তুত হচ্ছিলো ইজতেমা ময়দান। প্রশাসনিক অনুমতি না পাওয়ায় আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই দিয়াবাড়ি ময়দানের সকল কার্যক্রম স্থগিত করেন প্রথম পর্বের আয়োজক কমিটি।
তাবলিগ জামাতের বিবদমান বিরোধের কারণে এবারও আলাদাভাবে প্রথম পর্বে জোবায়ের অনুসারী দ্বিতীয় পর্বে সাদ পন্থী’রা ইজতেমার আয়োজন করবেন। প্রথম পর্বের আয়োজক কমিটি প্রশাসনিক কোন অনুমতি না নিয়ে উত্তরা দিয়াবাড়ি বউবাজার এলাকায় খুটি গাথা, সামিয়ারা টানানো, অস্থায়ী শেীচাগার, গোসল ও অজুখানা নির্মাণ করে। পরে মৌখিক অনুমতি চাইলে প্রশাসন এতে রাজি নন।
দিয়াবাড়ি ময়দানের জিম্মাদার মো: ফরিদ বলেন,মুুরব্বিরা নিষেধ করেছেন, কাজ করতে। আজ সকাল থেকে সকল কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কাকরাইল মসজিদে মুরব্বিদের আলোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, টঙ্গী তুরাগ নদের তীরেই অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দিয়াবাড়ী এলাকায় একটা মঞ্চ করবেন না বলেছিলেন, কিন্তু আপনারা মঞ্চ করে ফেলেছেন। এটা অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা চাই, আপনারা ভবিষ্যতে যৌথভাবে কাজ করবেন। জোবায়ের ও সাদ পন্থীদের মিলেমিশে ইজতেমা করার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে বিশ্ব তাবলীগ জামাতের বার্ষিক মহাসম্মেলন এর ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা। ইজতেমাকে সামনে রেখে তুরাগ নদের তীরবর্তী ১৬০ একর জমি বিস্তৃত ময়দানে এগিয়ে চলছে বিশ্ব ইজমেতার প্রস্তুতি। বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা জেলাওয়ারী খিত্তায় অবস্থান নিবেন। ২ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৪ফেব্রুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব-ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। দ্বিতীয় পর্ব ১১ই ফেব্রুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে উভয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।