মঙ্গলবার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত করলেন বাইডেন। আর গত সপ্তাহে নিশ্চিত হয়ে যায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের হয়ে লড়বেন ট্রাম্পই। নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান নেত্রী নিকি হ্যালি।
নির্বাচিত হতে ১ হাজার ৯৬৮ জন ডেলিগেট প্রয়োজন ছিল বাইডেনের। মঙ্গলবার রাতে সেই সংখ্যাকে অতিক্রম করতে সমর্থ হন বর্ষীয়ান ডেমোক্র্যাট নেতা। ঐদিন জর্জিয়ার ভোটাভুটির ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই তা পরিষ্কার হয়ে যায়। ফলে মিসিসিপি, ওয়াশিংটন, নর্দার্ন মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ কিংবা বিদেশে থাকা ডেমোক্র্যাটদের ভোটাভুটির আর প্রয়োজন থাকল না।
জয়ের পরে উচ্ছ্বসিত বাইডেন এক বিবৃতিতে জানান, ‘এবার ভোটারদের নিশ্চিত করতে হবে তারা দেশের ভবিষ্যত্টা কেমন দেখতে চান। আমরা কি আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করব, নাকি সেটাকে ধ্বংস করে দেব? আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে কি রক্ষা করার অধিকারটাই বলবত্ রাখব, নাকি চরমপন্থিদের হাতে তা তুলে দেব?’
এদিকে খাতায় কলমে এখনো ট্রাম্পের প্রয়োজন আরো কিছু ভোট। সেটাও এদিনই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার কথা। জর্জিয়াসহ চার প্রদেশের ভোটাভুটির ফলাফল এলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা। নিকি হ্যালি সরে যাওয়ার পর কেবল আনুষ্ঠানিকতাই মোটামুটি বাকি রয়ে গেছে।
আইনি ঝামেলা বাধা না হলে বাইডেন বনাম ট্রাম্প লড়াই একরকম নিশ্চিত। আগামী কয়েক মাস চলবে দুই নেতার বাগযুদ্ধ। ৫ নভেম্বরই প্রমাণ হবে কে শেষ হাসি হাসবেন।