গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে অলিম্পিক ফুটবলের জন্য দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্ব। যেখানে হোঁচট খেতে খেতে বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা। প্যারাগুয়ের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগ করে মাঠ ছাড়ে হাভিয়ের মাসচেরানোর শিষ্যরা। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে আলবিসেলেস্তে যুবারা। গ্রুপের অন্যদলগুলো হলো- চিলি, পেরু ও উরুগুয়ে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ভেনেজুয়েলার এস্তাদিও মিসায়েল দেলগাদো স্টেডিয়ামে পেরুর মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। যুবাদের ম্যাচটিতে মাঠে খেলার পাশাপাশি পেশিশক্তির প্রভাবও চোখে পড়ে। রেফারি দু’দলের ২৯টি ফাউল কাউন্ট করেন। যেখানে আর্জেন্টিনা ১৬টি ও প্যারাগুয়ে করে ১৩টি। এমন শক্তি প্রদর্শণের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। আলবিসেলেস্তেদের হয়ে থিয়াগো আলমাদা ও লুসিয়ানো গুন্দো গোল দু’টি করেন।
পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনা আধিপত্য বিস্তার করে খেলে। ম্যাচে ৬২ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখে মেসি-ডি মারিয়ার উত্তরসূরিরা। পুরো ম্যাচে ১৫টি শট করে পেরুর গোলমুখে যার মধ্যে ৬টি শট ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে পেরু মাত্র ৩টি শটই করতে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু কোনটিই লক্ষ্যে ছিল না।
খেলার প্রথমার্ধে পেরু তিনটি হলুদ কার্ড দেখে। প্রথম থেকেই পেশি শক্তি দেখাতে ব্যস্ত ছিল দু’দল। কিন্তু কোনো দলই প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন আলবিসেলেস্তে অধিনায়ক থিয়াগো আলমাদা। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন তিনি।
এরপর গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠে পেরু। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা গোল ধরে রেখে লিড বাড়ানোর দিকে মনযোগ দেয়। কিন্তু আর্জেন্টিনার রক্ষণে গিয়ে পেরুর সবগুলো আক্রমণ ফিরে আসে। ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে পেরুর কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন লুসিয়ানো গুন্দো। থিয়াগো আলমাদার অ্যাসিস্ট থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন গুন্দো।
এ জয়ে ২ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গোল গড়ে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্যারাগুয়ে।