বিপিএলের সিলেট চলমান আসরে জয়ের খোঁজে মাশরাফি

এক ঝাঁক তরুণদের দলে নিয়ে বিপিএলের গেল আসরে রীতিমতো উড়তে দেখা গিয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে। তবে চলতি আসরে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি তারা। এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচে মাঠে নেমে দুটিতেই পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয়েছে তাদের। তবে হারের বৃত্ত ভেঙে বেরোতে চায় তারা। দলে মোমেন্টাম ফিরে আসতে জয় চান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। গতকাল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে হারের পর এমনটি জানিয়েছেন মাশারাফি। বিপিএলের চলমান আসরে জয়ের খোঁজে মাশরাফি।

ঢাকায় প্রথম পর্বের খেলা শেষ সিলেটের। পরবর্তী ম্যাচে তারা নিজেদের হোম গ্রাউন্ডে আগামী ২৬ জানুয়ারি গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে। ঘরের মাঠে আলাদা সুবিধে নিয়ে সিলেট কি এ ম্যাচ দিয়েই আসরে কামব্যাক করতে চায় কি না, জানতে চাওয়া হলে জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘হোম গ্রাউন্ড আসলে ম্যাটার করে না। এর আগের বার আমরা এখানে (ঢাকায়) চারটা জিতে সিলেটে গিয়ে প্রথমটা হেরেছিলাম তো এইসব ম্যাটার করে না। তবে হ্যাঁ হোম গ্রাউন্ডে আমাদের সমর্থন বেশি থাকবে কিন্তু টি-টোয়েন্টি হল মোমেন্টামের খেলা। যতক্ষণ মোমেন্টাম না আসবে ততক্ষণ দল উজ্জীবিত হবে না। তো এখন আমাদের কাছে জয়টা খুব জরুরি। আর এটা (জয়) পেতে ভূমিকা রাখে না যে আপনি কোথায় খেলছেন।’

চলমান আসরে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া আট ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে কম রান হয়েছে গতকালকের প্রথম ম্যাচে। যা করেছে মাশরাফির দল। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান করতে সক্ষম হয়েছে তারা। তাদের এত কম সংগ্রহ করতে পিচ কোনো ভূমিকা রাখা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মাশরাফি সোজা উত্তরে জানিয়ে দেন নিজেদের ব্যাটারদের ব্যর্থতার কথা। বলেন, ‘ব্যাটসম্যানরা বাজে ব্যাটিং করেছে। আপনি যদি দেখেন যারা উইকেট দিয়েছে তারা সবাই কিছুটা প্রত্যাশিতভাবে ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছে আর শুরুতেই যদি দুই-তিন উইকেট পড়ে যায় সেখান থেকে কিছু করা কষ্টকর হয়ে যায়।’

কম সংগ্রহের ম্যাচেও খানিকটা জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল সিলেট। তবে দারুণ এক বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস খেলে রংপুরের পাকিস্তানি ব্যাটার বাবর আজম মাশরাফিদের পরাজয় নিশ্চিত করেন। বিপিএলে খেলতে গতকালই ঢাকায় এসেছেন তিনি। আর এসেই পরদিন খেলেছেন অর্ধশত রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। তবে সিলেটের অধিনায়কের মতে—ইনিংস এর এমন পরিস্থিতি বাবরের জন্য আদর্শ ম্যাচ।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওর (বাবর আজম) জন্য এটা খুব আদর্শ ম্যাচ। কারণ, রানে বল খেলা ওর জন্য খুব সহজ। এই কাজে ও মাস্টার আমার কাছে মনে হয়। তো রানটা যদি ১৪০ হতো তখন ওর জন্য খুব কঠিন হতো। ওর ব্যাটিংয়ের যে ধরন, ১২০ বলে ১২০ করা এক হিসাব, ১৪০ করা তখন আরেক হিসাব। এই জন্য বলছিলাম, মাঝখানের ওভারে ৩-৪ করে তিন-চারটা ওভার যদি দেওয়া যেত তাহলে ও চাপ অনুভব করতে পারত। যেটা হয়তো আমরা পারিনি। যে পরিস্থিতি ছিল, অবশ্যই বাবর আজম অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, এমন না যে সে হিট করে ম্যাচ জেতাবে, আমরা প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ দিতে পারিনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *