সিরিয়ায় স্থলমাইন বিস্ফোরণে ১৬ ট্রাফল সংগ্রাহক নিহত

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে মরুভূমিতে ট্রাফলের সন্ধানে থাকা কমপক্ষে ১৬ জন শনিবার মাইন বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। তাদের গাড়ি একটি স্থলমাইনকে আঘাত করার পর বিস্ফোরণ ঘটে। একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, রাকা প্রদেশে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের চরমপন্থীরা অবস্থান করা এলাকায় ছোট ট্রাকটি একটি মাইনকে আঘাত করে।

এতে ‘কমপক্ষে ৯ নারীসহ ১৬ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং অন্যান্য গুরুতর আহত হয়’। ট্রাকটিতে ২০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক ছিল, যারা মরুভূমিতে ট্রাফলের সন্ধান করছিল।
১৩ বছরের যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত দেশটিতে ট্রাফল উচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে শত শত দরিদ্র সিরীয় তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিস্তীর্ণ মরুভূমিতে ট্রাফলের সন্ধান করে।

জায়গাটি জিহাদিদের জন্য একটি পরিচিত আস্তানা ও মাইনে ভরা। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সিরীয়রা ট্রাফলের সন্ধানে বারবার মারাত্মক মাইন বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ প্রায়ই সতর্ক করে।
ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থাটি এর আগে এই মাসের শুরুর দিকে বন্দুকধারীদের হাতে ১৮ জন নিহত খবর জানিয়েছিল, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক ছিল।

একটি মরুভূমিতে একদল ট্রাফল সংগ্রাহকের ওপর আইএসের সঙ্গে যুক্ত বলে ধারণা করা বন্দুকধারীরা সেই হামলা চালিয়েছিল এ চাড়া গত মাসে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছিল, আইএসের রেখে যাওয়া একটি স্থলমাইনের আঘাতে রাকা মরুভূমিতে ১৪ জন ট্রাফল সংগ্রাহক নিহত হয়েছেন।
২০১৯ সালের মার্চে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট সমর্থিত একটি সামরিক অভিযানের পর আইএস সিরিয়ায় তার শেষ অংশটি হারায়। কিন্তু জিহাদিদের অবশিষ্টাংশ মরুভূমিতে লুকিয়ে থাকে ও মারাত্মক আক্রমণ চালায়। তারা বেসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী, সিরিয়ার সরকারি সেনা ও ইরানপন্থী যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, পাশাপাশি প্রতিবেশী ইরাকেও হামলা চালিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *