হারির মার্কিন ঘাঁটিতে ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলা

জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে ৩ সেনাকে নিহত করেছিল মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। ওই হামলায় আরো ৪০ জনের বেশি মার্কিন সেনা আহত হয়। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। এই ঘটনার পর থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছিল। ক্ষমতার খুটি শক্ত রাখতে প্রতিশোধ নেওয়াও জো বাইডেনের জন্য জরুরি হয়ে পড়ে। সেই হামলার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইরাক ও সিরিয়ার ইরান সমর্থিত বাহিনীর বেশ কয়েকটি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় মার্কিন সেনাবাহিনী।

আর এই ঘটনার পরই আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যে। এরই মধ্যে মার্কিন হামলার জবাব দিতে শুরু করেছে ইরাকের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো। লেবাবনন ভিত্তিক গণমাধ্যম আল মায়াদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের ইরবিলে যুক্তরাষ্ট্রের হারির সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরানের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তারা ড্রোন দিয়ে মার্কিন ঘাঁটিটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।

প্রতিরোধ যোদ্ধারা এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরাকে মার্কিন দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংগ্রামের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতেও তারা হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। শনিবার ইরবিলের দখলদার মার্কিন বাহিনীর হারির ঘাঁটি লক্ষ্য করে সেকারণেই ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়াও চলতি হামলা সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

ইরাক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে শুক্রবার চালানো মার্কিন হামলায় অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অনেক বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরো ২৫ জন। এই ঘটনার প্রতিবাদ হিসেবে ইরাকে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধিকেও তলব করেছে দেশটির সরকার। তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে সামনের দিনগুলোতেও ইরান সমর্থিত ইরাক ও সিরিয়ার গোষ্ঠীগুলোর ওপর তাদের হামলা অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *