আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। তেল উত্তোলন ও বিপণনের সঙ্গে যুক্ত দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কয়েক মাস আগেই। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার ফলস্বরূপ তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের উভয় বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম বেড়েছে ২ শতাংশ। কোনো দাম বৃদ্ধি তার চেয়েও কিছুটা বেশি।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার প্রতি ব্যারেল (১৫৯ লিটার) ব্রেন্ট ক্রুড বিক্রি হয়েছে ৮৩ দশমিক ৫৫ ডলারে। আর প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই বিক্রি হয়েছে ৭৯ দশমিক ৯৭ ডলারে। সেই হিসাবে বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রতি ব্যারেলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়েছে ২ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম বেড়েছে ২ দশমকি ১০ শতাংশ।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। এরপর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মস্কোকে কোণঠাসা করতে রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো। এরপর থেকেই হুহু করে বাড়তে থাকে জ্বালানি তেলের দাম।
ডলারের দামও বাড়তে থাকায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জ্বালানি তেল ক্রয় কমিয়ে দেয়। ফলে তেলের বাজারে মন্দাভাব শুরু হয় এবং লোকসানের শিকার হতে থাকে তেল উত্তোলন ও বিক্রয়কারী দেশগুলো। এরপর আবার তেলের দাম কমতে থাকে। আর সেই দাম বাড়াতেই সৌদি আরবের আহ্বানে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়।