খুলনায় অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে অনেক হোটেল-রেস্টুরেন্ট। এসব হোটেল-রেস্টুরেন্টে অগ্নিনির্বাপণের কোনো সুব্যবস্থা নেই। ফলে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পৌঁছানোর আগেই জীবনহানির মতো ঘটতে পারে মর্মান্তিক কোনো দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা মহানগরীসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোটেল-রেস্টুরেন্ট। লাভজনক হওয়ায় অগ্নিনির্বাপণের কোনো সুব্যবস্থা না করেই বহু শিক্ষিত তরুণ, যুবকও এই পেশা বেছে নিয়েছেন। কাচ্চিঘর, কাচ্চিভাই, কস্তুরি, গোলপাতা, রসুই, আল-আরাফা, হোটেল আব্বাসসহ বিভিন্ন নামে-বেনামের এ সব হোটেল-রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন হাজারো মানুষ খেতে যান। তবে বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শৌখিন ও ভোজন রসিক মানুষরাই এসব রেস্টুরেন্টে খেতে আসেন বেশি। এছাড়াও জন্মদিন, গায়ে হলুদ, বিয়েবার্ষিকীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষেও এসব হোটেল-রেস্টুরেন্টকে শৌখিন মানুষরা পছন্দের জায়গা হিসেবে বেছে নেন।
সূত্র জানায়, খুলনা মহানগরীতে ছোট-বড় চার শতাধিক হোটেল রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়াও নগরীর উপকণ্ঠ জিরোপয়েন্ট, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর ও ফুলতলা উপজেলায় খুলনা-যশোর মহাসড়কের পাশেও অনেক হোটেল-রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। এ সব হোটেল-রেস্টুরেন্টের রান্নার কাজে মাটির চুলাসহ ছোট-বড় গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়। এসব চুলার আগুন ও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
বর্তমানে খুলনা মহানগরীর রেস্টুরেন্ট ব্যবসার প্রসিদ্ধ জায়গার নাম জিরো পয়েন্ট। নগরীর সন্নিকটের এই স্থানে ছোট-বড় ৪০টির বেশি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যার মধ্যে ১০ থেকে ১২টি বড় রেস্টুরেন্ট।
এখানকার আল আরাফা রেস্তোরাঁ-২’র মালিকের ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণের সুব্যবস্থা আছে। তবে সকলের এ ব্যবস্থা আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই।খুলনা মহানগর হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি ও রাজমহল রেস্টুরেন্টের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খুলনা মহানগরীতে ছোট-বড় চারশতাধিক হোটেল-রেস্টুরেন্ট রয়েছে। তবে আমাদের সদস্য রয়েছে দেড়শতাধিক। এ সব হোটেল-রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন হাজারো মানুষ খেতে আসেন।
তিনি বলেন, সব হোটেল-রেস্টুরেন্টে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা আছে কি-না সেটা বলতে পারব না। তবে ভালো রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা আছে।
তিনি বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্টে আগুন লেগে হতাহতের পর আমরা এ ব্যাপারে আরও বেশি সতর্ক হয়েছি। আমাদের সদস্যরা তাদের রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপকের সুব্যবস্থা নিয়েছে।