বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন নাগরিক টিভি ও এর উপস্থাপককে হুমকি দিয়েছেন ‘ভাইরাল ডাক্তার মুনিয়া। দেশ রূপান্তরের কাছে মুনিয়ার হুমকি সম্বলিত ফোনালাপ হাতে এসেছে। ওই ফোনালাপে মুনিয়া বলেন, আপনারা আমার এক ঘণ্টার ইন্টারভিউ নিয়েছেন, শুধু এতোটুকু ছাড়ছেন কেন?
টিভি উপস্থাপক সমৃদ্ধি এ সময় বলেন:
আমরা ট্রেলার ছেড়েছি, সম্পূর্ণটা ছাড়বো। মুনিয়া এসময় বলেন, কাজটি ঠিক করেননি, আপনাদের দেখে নেব, নাগরিক টিভি কে দেখে নেব।
বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন নাগরিক টিভি ও এর উপস্থাপককে হুমকি দিয়েছেন ‘ভাইরাল ডাক্তার’ মুনিয়া। দেশ রূপান্তরের কাছে মুনিয়ার হুমকি সম্বলিত ফোনালাপ হাতে এসেছে। ওই ফোনালাপে মুনিয়া বলেন, আপনারা আমার এক ঘণ্টার ইন্টারভিউ নিয়েছেন, শুধু এতোটুকু ছাড়ছেন কেন? উপস্থাপক সমৃদ্ধি এ সময় বলেন, আমরা ট্রেলার ছেড়েছি, সম্পূর্ণটা ছাড়বো। মুনিয়া এসময় বলেন, আকজতা ঠিক করেননি, আপনাদের দেখে নেব, নাগরিক টিভিকে দেখে নেব।
আরও পড়ুন: বিমানের জাল টিকিট বিক্রি হতো বড় ডিসকাউন্টে
তাকে জিজ্ঞেস করা হয় আইসিইউ মানে কী, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, যেখানে রোগীকে আইসিইউতে মানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়, অক্সিজেন দেওয়া হয়। তাকে আবার জিজ্ঞেস করা হয় আইসিইউ মানেটা কী, তিনি উত্তর দিতে পারেননি।
১টি রোগীর বিষয়ে কথা বলেন মুনিয়া। সমৃদ্ধি তাকে জিজ্ঞেস করেন কী হয়েছিল তার, মুনিয়া বলেন, ব্রেন স্টোমাক। সমৃদ্ধি বুঝতে না পেরে আবার জিজ্ঞেস করেন ব্রেইন টিউমার? মুনিয়া বলেন, না; ব্রেইন স্টোমাক হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে আনসার সদস্যরা মুনিয়া খান রোজা (২৫) নামে এক ভুয়া গাইনি চিকিৎসককে আটক করেন। এরপর তাকে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তখন মুনিয়ার ঠাই হয় জেল। মুনিয়া জেল থেকে বের হয়ে দাবি করেন, সে ভুয়া ডাক্তার না।
মুনিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তিনি ডাক্তার কী না, কেন সে টিকটক করে। এর উত্তরে মুনিয়া বলেন , যদি ডাক্তার না হই তাহলে কী আমাকে ঢাকা মেডিকেলে এমনি পেশেন্ট দেখতে দেয়?
অভিযুক্ত তরুণী ঢাকা মেডিকেল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিতেন এবং সুযোগ পেলে চিকিৎসকদের রুমে ঢুকে মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করতেন। এ ছাড়া নীলক্ষেত থেকে অ্যাপ্রোন, আইডি কার্ড এবং মিডফোর্ড থেকে স্টেথো-স্কোপ এনে প্রতারণায় ব্যবহার করতেন এবং নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিতেন।