গতকাল খেলেছে। আজ আবার মাঠে নামছে। বিরতি নেই। সুপার এইটে গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। আজকের প্রতিপক্ষ ভারত। পার্থক্য শুধু সময়ের। ২০২১ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খেলেছিল সকাল সাড়ে ৬টায়। প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খেলা রাত সাড়ে ৮টায়। ভেন্যু অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম।
সুপার এইটে দুই দলের এটা দ্বিতীয় ম্যাচ। নাজমুলবাহিনী ডিএল মেথডে মার্শবাহিনীর কাছে হেরেছে ২৮ রানে। রোহিত শর্মার দল আফগানিস্তানকে হারিয়েছে ৪৭ রানে। সেমিফাইনাল খেলতে রোহিতবাহিনীকে হারানোর বিকল্প নেই টাইগারদের। রোহিতবাহিনী জিতে যায়, তাহলে সুপার এইট আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হবে টাইগারদের। আফগানিস্তান ম্যাচটি হবে শুধুই আনুষ্ঠানিকতার।
পরিসংখ্যানও এগিয়ে রাখছে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নদের। ১৩ বার মুখোমুখির একটিতে মাত্র জিতেছে বাংলাদেশ। হার ১২টিতে। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পরস্পরের বিপক্ষে খেলেছে তিনবার। ২০০৯ সালে নটিংহ্যামশায়ারে ২৫ রান, ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুতে ১ রান এবং ২০২২ সালে অ্যাডিলেডে ৫ রানে হেরেছে টাইগাররা।
বাংলাদেশ-ভারত টি-২০ ম্যাচের কথা এলেই ফিরে আসে ২০১৬ সালের বেঙ্গালুরুর স্মৃতি। টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচটি জিততে টাইগারদের ১১ রান দরকার ছিল শেষ ওভারে। প্রথম তিন বলে দুই চারে ৯ রান নেন মাহমুদুল্লাহ-মুশফিক জুটি। হার্দিক পান্ডিয়ার শেষ ৩ বলে দরকার ২ রান। কিন্তু পরপর দুই বলে মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ আউট হলে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। শেষ বলে রান আউট হন মুস্তাফিজুর রহমান।
১৪৭ রান তাড়া করতে নেমে ১৪৫ রানে থেমে যায়। অবিশ্বাস্যভাবে টাইগাররা হেরে যায় মাত্র ১ রানে। নাজমুলবাহিনী আজ নামছে ছন্দহীন টপ অর্ডার নিয়ে। তানজিদ তামিম টানা দুই ম্যাচে শূন্য করেছেন। লিটন বড় স্কোর করতে পারছেন না। টানা ৪ ম্যাচে ব্যর্থ টাইগার অধিনায়ক নাজমুল গতকাল রান করেছেন ৪১। ধারাবাহিক তাওহিদ হৃদয় ৪০ রান করেন। আসরে ৫ ম্যাচে তাওহিদের রান ১৩৫। ভরসা তাসকিন, তানজিম সাকিব, মুস্তাফিজুর ও রিশাদের বোলিং।