ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মাহমুদুল হাসান আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
আইনজীবী মাহমুদুল হাসান জানান, রোববার বাণিজ্য সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রকের কাছে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আইনি নোটিশে তিন দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনজীবী মাহমুদুল হাসান জানান, ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এই আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
শনিবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
রোববার অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ইলিশ রপ্তানি করে বাণিজ্যিক সুবিধা, বৈদেশিক মুদ্রা। রপ্তানি না হলে তা চোরাচালান। ভারতে ইলিশ রপ্তানি বাড়ছে এবং রপ্তানিতে আগ্রহ রয়েছে।
আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী ভারতের একটি বিশাল ও বিস্তৃত সামুদ্রিক ডোমেইন রয়েছে এবং তাদের জলসীমায় ব্যাপক ইলিশ উৎপাদন হয়। এ বিবেচনায় ভারতকে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ আমদানির প্রয়োজন নেই। ভারত প্রধানত বাংলাদেশের পদ্মা নদী থেকে ইলিশ আমদানি করে, কারণ পদ্মার ইলিশ খুবই জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু। রপ্তানি ও চোরাচালানের কারণে বাংলাদেশের মানুষ পদ্মার ইলিশ বাজারে পায় না। বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায় তা দেশের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত নয়। বাংলাদেশর রপ্তানি নীতি অনুযায়ী ইলিশ মাছ অবাধে রপ্তানিযোগ্য নয়।