ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া তিন নারী ও এক শিশুসহ সাতজন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার রাত সোয়া ৭টার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার খাড়াকান্দি এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহত ব্যক্তিরা সবাই লেগুনার যাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পর ওই মহাসড়কে ৪০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ এসে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে ফেললে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামের মেহেদী মাতুব্বর (২৫), একই ইউনিয়নের নওয়াকান্দা গ্রামের হাফিজুল ইসলাম (৪০), ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার সিরাজুল ইসলাম (৩৫) এবং নগরকান্দ উপজেলার পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা লিটন মণ্ডল (৩৮)।
দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন হাসিনা বেগম (৬৫), রানী পাল (৬০), মেহেদী হাসান (১৪), মো. জাহিদ (৪৫), আমিরন বেগম (৬০), রাম পাল (৩০) ও খালিদ সাইফুল্লাহ (১০)। আহত শিশু খালিদকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ছয়জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লেগুনাটি (স্থানীয়ভাবে যানটি সবুজ বাংলা নামে পরিচিত) যাত্রী নিয়ে ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর যাচ্ছিল। পথে ভাঙ্গা পৌরসভার খাড়াকান্দি এলাকায় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস সোহাগ পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে লেগুনার ১১ যাত্রী হতাহত হন। ঘটনাস্থলেই চারজন মারা যান। আহত অপর সাতজনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক পরে ছয়জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
ঘটনাটি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়েছেন। আহত অপর সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। স্বজনেরা এলে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।