ইউক্রেনের ৬৫ বন্দী নিয়ে রুশ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত

ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার একটি ইউশিন আইএল-৭৬ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে উড়োজাহাজটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় উড়োজাহাজের ভেতরে থাকা ৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া।

রাশিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার ভিয়াচেস্লাভ ভোলোদিন ৬৫ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে বহনকারী উড়োজাহাজ গুলি করে ভূপাতিত করার জন্য কিয়েভকে অভিযুক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, তারা নিজেদের সৈন্যদের বহইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এতে ৬৫ জন ইউক্রেনের বন্দী ছিলেন। যাদের সবার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এতে ৬৫ জন ইউক্রেনের বন্দী, ছয় জন ক্রু এবং তাদের সাথে আরও তিন জন ছিলেন। দুর্ঘটনার কারণ কী তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার না। এ ঘটনায় কেউ বেঁচে আছে কিনা তাও জানা যায়নি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে এবং একটি বিশেষ সামরিক কমিশন দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

বেলগোরোদের আঞ্চলিক গভর্নর ভায়াচেসলাভ গ্লাদকোভ জানিয়েছেন, তিনি বিমান দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে তিনি বিস্তারিত কোনো কিছু জানাননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে ইয়াবলোনোভো গ্রামে একটি বিমান খাড়াভাবে আছড়ে পড়ছে। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

আইএল-৭৬ বিমানটি তৈরি করা হয়েছে সেনা, কার্গো, সামরিক সরঞ্জাম এবং অস্ত্র পরিবহণের জন্য। বিমানটিতে সাধারণত পাঁচজন ক্রু থাকেন এবং এটি সর্বোচ্চ ৯০ জন যাত্রী বহন করতে পারে।নকারী উড়োজাহাজে গুলি করেছে। একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে আইনপ্রণেতাদের ভলোদিন বলেন, আমাদের পাইলটরা একটি মানবিক মিশন উড়াচ্ছিলেন। ইউক্রেন উড়োজাহাজটি গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
ভোলোদিন তার অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি। তার দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি আল জাজিরা।

এদিকে ইউক্রেনের ইংরেজি পত্রিকার দাবি, ওই বিমান ইউক্রেনের সেনারা ভূপাতিত করেছে এবং সেটিতে ইউক্রেনের কোনো বন্দী ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *