আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে প্রচলিত মাটির ইটের ব্যবহার বন্ধ করা হবে। এর পরিবর্তে ব্লক ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, খোলা ট্রাকে করে ঢাকা শহরে ইট, বালু ও সিমেন্ট বহন করলে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি ঢেকে না রেখে নতুন ভবন নির্মাণ করলে জরিমানার পরিমাণও বাড়বে।
গত ২৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ, বায়ু ও সব ধরনের দূষণ নিয়ন্ত্রণে জোর দিয়ে কাজের অগ্রাধিকার ঠিক করে ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
এরমধ্যে অন্যতম কর্মসূচি হিসেবে বায়ুদূষণ ও উর্বর মাটির ক্ষয়ের জন্য প্রধানত দায়ী ঢাকায় চারপাশের ৫০০টি প্রচলিত ইটভাটাও ধ্বংস করা হবে এই সময়ের মধ্যে। পাশাপাশি পরিবেশ সম্মত ব্লক ইটের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া আইন হালনাগাদ করা, নীতি কাঠামো তৈরি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিল্প কারখানার ইটিপি কার্যকরভাবে চালু রাখতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ, পাহাড়, টিলা ও প্রাকৃতিক জলাধারের ম্যাপিং শুরু করা এবং জবরদখল হয়ে যাওয়া বনভূমি উদ্ধারে করে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে কর্মসূচিতে।
পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক ক্ষয়ক্ষতি তহবিল (লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড) থেকে আগামী পাঁচ বছরে কমপক্ষে ১৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ পাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ২০২৪ এ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও পরিবেশ সুরক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং এ মন্ত্রণালয়ের বর্ণিত চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার নির্ধারণ ও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ১০০ কর্মদিবসের এই কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হয়েছে।
এছাড়া বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ, পাহাড় কাটা ও জলাধার ভরাট রোধসহ পরিবেশ খাতে সুশাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে। এ কর্মপরিকল্পনা জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি দ্রুত মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সদিচ্ছা ও অঙ্গীকারের প্রতিফলন হবে বলে মন্তব্য করা হয়।