ফ্রান্স এবং বাংলাদেশ একত্রিত হয়ে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, কৃষি-মৎস্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ব্লু ইকোনমি রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় প্রতিরক্ষা নিরাপত্তায় নিজস্ব আর্থ অবজারভেটিভ স্যাটেলাইট দরকার। গ্রাউন্ড স্টেশন, ডেটা রিসিভিং সেন্টার, প্রসেসিং, অ্যানালেটিক্সসহ সব কিছুই বাংলাদেশের মাটিতে হবে। এরই লক্ষ্যে ফ্রান্স এবং বাংলাদেশ একত্রিত হয়ে মেইড ইন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট লঞ্চ করা হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে আজ রবিবার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের আইডিয়া ফ্লোরে ফ্রান্সের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্টেফেন ভেসভাল সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার বিষয়ে ফ্রান্স সরকারের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। প্রতিমন্ত্রী ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি এ চারটি মূল স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ফ্রান্স এবং বাংলাদেশ একসঙ্গে অর্থনৈতিক ডিপ্লোমেসিতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য আমরা আরো এগিয়ে যাচ্ছি। স্পেস ইন্ডাস্ট্রিতে দেশের ছাত্র, গবেষক এবং স্টার্টআপদের স্কিল ডেভেলপ করার জন্য পরবর্তী স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়ে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম সম্পর্কিত ফ্রান্সের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেসের সঙ্গে ইতোমধ্যে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) চুক্তি হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি ও একাডেমিয়ার সম্মিলিত সহযোগিতায় আর্থ অবজারভেটিভ স্যাটেলাইট কন্সট্রাকশন করা হবে।