ধর্ষণের মামলায় ৮ বছরের কারাদণ্ড লামিচানের

ধর্ষণের দায়ে নেপালের সাবেক অধিনায়ক সন্দীপ লামিচানেকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন নেপালের একটি আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ৩ লাখ নেপালি রুপি জরিমানার সঙ্গে ভুক্তভোগীকে ২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট। ২৩ বছর বয়সী লামিচানেকে এক সময় নেপাল ক্রিকেটের পোস্টার বয় হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

এ লেগ স্পিনারের মাঠের সাফল্যে হিমালয়ের কোলের দেশটির খেলার মর্যাদাও তুলে ধরেছিল। ২০২২ সালে কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে একজন তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় লামিচানের বিরুদ্ধে। তবে এরপর জামিনে মুক্ত পান তিনি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফেরেন। গত ডিসেম্বরে এ মামলায় লামিচানেকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তবে এর আগে ধারাবাহিকভাবে শুনানিতে বিলম্ব হয়েছিল, যাতে লামিচানে খেলার সুযোগও পান। অবশেষে বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

‘আদালত তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কাঠমান্ডুর জেলা আদালতের কর্মকর্তা রামু শর্মা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন,। তবে লামিচানে এ মামলায় গ্রেপ্তার ছিলেন না, রায় ঘোষণার সময় আদালতেও ছিলেন না। তাঁর আইনজীবী সরোজ ঘিমিরে এএফপিকে বলেছেন, লামিচানে ‘এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।’ লামিচানে বরাবরই তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।

জনগণের সমর্থনও পেয়েছেন তিনি। তবে নেপালের হয়ে তাঁর খেলা চালিয়ে যাওয়া অনেককে ক্ষুব্ধও করে তুলেছে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে বারবার পিছিয়ে যাওয়ার পর লামিচানের মামলা সম্পন্ন হলো। ২০২২ সালের ২১ আগস্ট কাঠমান্ডুর জেলা অ্যাটর্নি অফিস লামিচানের বিরুদ্ধে ১৭ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে। এ ছাড়া লামিচানের বিরুদ্ধে একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর গুয়াশালা মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্কেলে মামলা করেছিল ভুক্তভোগী মেয়েটি।

লামিচানে তখন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে দেশের বাইরে ছিলেন। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত বছরের ৬ অক্টোবর নেপালের পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আদালত অবশ্য ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটি সে সময় ‘মাইনর’ বা ১৮ বছরের কম বয়সী ছিলেন, তা নাকচ করে দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *