এবার শীত পড়বে কম—এটা শীত আসার আগে বলেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। বাস্তবেও শীত এবার কম পড়েছে। ডিসেম্বরে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা বেশি ছিল। চলতি মাসের শুরু থেকেই অবশ্য শীতের অনুভূতি বাড়তে শুরু করেছে। আর দেশের উত্তরের কয়েকটি জেলায় শুরু হয়েছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুক্রবারও উত্তরের তিন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ভোটের দিন শীতের এ অনুভূতি এখনকার চেয়ে কিছুটা কম থাকতে পারে। তবে দেশজুড়ে কুয়াশা থাকবে।
উত্তরের জেলাগুলোয় থাকতে পারে ঘন কুয়াশা। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, আজ দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তবে তা কিছু জায়গা থেকে কমতে পারে। আজ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৯ দশমিক ৮ এবং ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোটের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে—এ প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, তাপমাত্রা এখন কিছুটা বাড়তির দিকে।
তবে শীতের অনুভূতি ভোটের দিনও দেশজুড়ে থাকবে। কিন্তু কনকনে ঠান্ডা বলতে যা বোঝায়, তা উত্তরের জনপদ বাদ দিয়ে অন্যত্র না–ও থাকতে পারে। শীতের এ সময়টায় কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে উত্তরের জেলাগুলোয় ঘন কুয়াশা পড়ছে। নদী অববাহিকায়ও পড়ছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। ভোটের দিন উত্তরের জেলাগুলোয় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদ আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও রংপুরে কুয়াশা থাকতে পারে বেশি মাত্রায়। তবে ঢাকাসহ অন্যত্র কুয়াশা হয়তো ততটা থাকবে না।
চট্টগ্রাম বিভাগে তাপমাত্রা বাড়তে পারে এখনকার তুলনায়। গতকালের চেয়ে রাজধানীতে শীতের অনুভূতি কিছুটা কমেছে। গতকাল রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক আজ প্রথম আলোকে বলেন, দেশে শীতের অনুভূতি গতকাল বৃহস্পতিবারের চেয়ে খানিকটা কমলেও এখনো যথেষ্ট রয়ে গেছে। শীতের এ অনুভূতি থাকার কারণ ঘন কুয়াশা।
কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের কিরণ পৌঁছাতে কোথাও কোথাও বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, দিনে যেখানে অন্তত আট ঘণ্টা সূর্যের আলো থাকার কথা, সেখানে এখন থাকছে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। স্বাভাবিকভাবেই তাই শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। কুয়াশা আরও অন্তত সাত দিন থাকতে পারে। ভোটের দিন কুয়াশা বেশি থাকার কারণে উত্তরের জনপদগুলোয় যান ও বিমান চলাচল খানিকটা বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক।