টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা সিডনি টেস্টটাই হয়ে থাকছে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারের শেষ ম্যাচ। তার আগে ওয়ানডেকেও বিদায় বলেছেন ওয়ার্নার। আহমেদাবাদের বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তোলাই এই সংস্করণে তাঁর শেষ স্মৃতি। বাকি আছে শুধু টি-টোয়েন্টি। এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেও অবসর নিতে পারেন ওয়ার্নার।
দলীয় ও ব্যক্তিগত সাফল্যে ঝলমল এক ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে থাকা সেই ওয়ার্নারের নাম অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাস ভালোভাবেই মনে রাখবে। ক্রিকেট–বিশ্ব তাঁকে মনে রাখবে বিস্ফোরক ব্যাটিং, মাঠ ও মাঠের বাইরের নানা আচরণ এবং অবশ্যই স্যান্ডপেপার-কাণ্ডের জন্য। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রানের মালিক ওয়ার্নার। দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসে ওপরের দিকেই থাকবে তাঁর নাম। তাঁকে গ্রেটদের পাশেও রাখছেন অনেকে। তবে ওয়ার্নারকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সাবেক কোচ জন বুকাননের মূল্যায়ন একটু ভিন্ন।
অস্ট্রেলিয়ার এসইএন রেডিওর এক অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ওয়ার্নার অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে গ্রেটদের তালিকায় জায়গা পাবেন কি না? চার শব্দের একটি বাক্যেই উত্তরটা দিয়েছেন বুকানন, ‘আমার মনে হয় না।’ বুকাননের কথার গুরুত্ব আছে বৈকি।
১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর থেকে ২০০৭ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার কোচ ছিলেন বুকানন। এই সময়ে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। জিতেছে একটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও। স্টিভ ওয়াহ, শেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম্যাকগ্রা, রিকি পন্টিং, ম্যাথু হেইডেন, অ্যাডাম গিলগ্রিস্টদের মতো মহাতারকারা ছিলেন বুকাননের শিষ্য।