শাকিব খান ও বলিউডের সোনাল চৌহানকে নিয়ে তৈরি দরদ ছবিটি নিয়ে নানান গুঞ্জন চলছে

‘মিডিয়াতে আমি যা বলেছি, তা করে ছেড়েছি’

নির্মাতা অনন্য মামুন তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়টিই পার করছেন। তবে তার নির্মাণে শাকিব খান ও বলিউডের সোনাল চৌহানকে নিয়ে তৈরি দরদ ছবিটি নিয়ে নানান গুঞ্জন চলছে। সেই প্রসঙ্গ ও বর্তমান চলচ্চিত্র ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
আপনার ‘দরদ’ ছবিটি আর মুক্তি পাচ্ছে না, এমন খবর শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি খোলাসা করুন।
দেখুন, প্রথমদিকে আমরা ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে রিলিজ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভারতীয় ছবি ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে ভালোবাসা দিবস কোনো গুরুত্ব রাখে না। ছবিটি যেহেতু শুধু আমরা একা প্রযোজনা করছি না, বরং এই ছবি গোটা ইন্ডিয়ার বড় একটি ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মাধ্যমে সর্ব ভারতীয় সিনেমা হলে মুক্তি পাবে। আনন্দের বিষয় হলো আমরা ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী ডিস্ট্রিবিউটর চেইন থেকেই ছবিটি মুক্তি দিচ্ছি। তাই যারা ছড়াচ্ছে যে, ছবিটি মুক্তি পাবে না। তারা কথা বলুক। আমরা কাজ করে যাই। এত বড় স্কেলে কখনো বাংলাদেশি ছবি মুক্তি পায়নি। তাই একটা ভালো সময়েই ছবিটি মুক্তি দেওয়া হবে।
‘দরদ’ ছবিটি নিয়ে আরো একটি বিভ্রান্তি রয়েছে। তা হলো ছবিটি নাকি সকল পারফর্মার হিন্দিতে শুটিং করেছেন। তবে কি বাংলাদেশে ডাবিং প্রোডাকশন দেখবে দর্শকেরা?
এটাও আমি শুনেছি। খুবই হাস্যকর গুঞ্জন এটা। আমরা ছবির পুরোটা বাংলা এবং হিন্দি দুই ভাষায় শুটিং করেছি। বাকি তামিল, তেলেগু, মালায়লাম, মারাঠি ভাষায় আমরা ডাবিং করবো।
আপনারা এই প্রথম সৌদি আরবেও এই ছবিটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করছেন। এটির কতদূর?

এটা চূড়ান্ত। সে কারণে আমরা এরাবিক ডাবিং করিয়ে, তাদের দেশে আলাদা সেন্সরশীপ সার্টিফিকেট নিয়ে তবেই ছবিটি মুক্তি দেবার চেষ্টা করবো। সব প্রসেস চূড়ান্ত।

আপনারা নিয়মিত এখন হিন্দি মুভি নিয়ে আসছেন। প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাটের মাধ্যমে। যেই প্রতিষ্ঠানটির সাথে আপনি জড়িত। সেক্ষেত্রে ভারতীয় বাংলা বা অল্প বাজেটের ছবিগুলো একসাথে রিলিজের সম্ভাবনা আছে কি-না?

সম্প্রতি মোশাররফ করিম অভিনীত ‘হুব্বা’ ছবিটি একইসাথে মুক্তি দিচ্ছে জাজ। আমরাও চেষ্টা করছি। হিন্দি বা বড়-ছোট বাজেট বিষয় নয়। বরং আমরা চাইব ছবিটি আনতে যা লগ্নি করা হয়। তা যেন উঠে আসে। কারণ দিনশেষে ব্যবসাটা না হলে সব কাজ বন্ধ থাকবে। সেভাবেই আমরা কাজ করি। এখন আমি একজন নির্মাতা হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তাই ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কোথাও আমি ফলাও করে বলি না— আজ অনেকেই হিন্দি ছবি বা বাইরের ছবি আনার চেষ্টা করছে। তাই নিজেদের ভেতরেও একধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। নিশ্চয়ই এতে সামগ্রিকভাবে আমাদেরই লাভ হবে বলে আমি মনে করি।

একাধিক শিল্পী নিয়ে মাল্টি কাস্টিংয়ের ছবি নির্মাণের ঘোষণা শুনছি আপনার কাছ থেকে। এটির সত্যতা কতটুকু?

দেখুন, এই জীবনে বা এই মিডিয়াতে আমি যা বলেছি, তা করে ছেড়েছি। তাই এই কাজটিও করবো। আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। চলতি বছরের মে মাসের দিকে আমরা এ নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবো।
আপনি, হিমেল আশরাফ, রায়হান রাফী—দেশের তরুণ মেধাবী নির্মাতা সকলেই ঐ শেষ অব্দি শাকিব খানকে নিয়েই কাজ করছেন। অর্থাত্ কোনো ঝুঁকিতে না গিয়ে। তাহলে কীভাবে আমাদের নতুন তারকা তৈরি হবে? যাদের ওপর নির্ভর আগামীর ইন্ডাস্ট্রি চলতে পারে…

দরদের পরে আমার আরো দুটি ছবি মুক্তি পাবে। তার একটিতে শাকিব খান আছে। বাকি আরেকটিতে কিন্তু অন্য কেউ। এবং সেই ছবিটি নিয়ে আমরা অনেককিছু প্ল্যান করছি। আর রাফি বা হিমেলসহ আমরা সকলেই এখন বাংলা মুভির ডেভলপমেন্ট নিয়েই কাজ করছি। আমরা একটা ছাদের নিচেই। ভাবনা বা ভিশনে কোনো ব্যতিক্রম নেই আমাদের। তাই এখানে আমি মনে করি একসাথে কাজ করলেই বাংলা ছবির এই ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন একটা মোড়ে নিয়ে আসা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *