অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের নবম ওভারের প্রথম ডেলিভারি।বল করলেন শামার জোসেফ, ব্যাট করলেন স্টিভেন স্মিথ আর স্লিপে ক্যাচ নিলেন জাস্টিন গ্রেভস। কাকতালীয়ভাবে তিনজনেরই অভিষেক হলো আজ। টেস্ট অভিষেক বলতে যা বোঝায়, জোসেফ আর গ্রেভসের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তেমনই। তবে এক শর বেশি টেস্ট খেলে ফেলা স্মিথের অভিষেকটা একটু ভিন্ন—আজই প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ওপেনার হিসেবে খেললেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক।
ব্যাটিংয়ের জন্য অপেক্ষা ভালো না লাগার কারণে ওপেনিং চেয়ে নেওয়া স্মিথ অবশ্য শুরুটা ভালো করতে পারেননি। ওপেনিংয়ের অভিষেকে আউট হয়ে গেছেন ১২ রান করে।
অ্যাডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে ক্যারিবীয়দের প্রথম ইনিংস থেমেছে ১৮৮ রানে। যেখানে ব্যাট হাতে ভূমিকা আছে জোসেফেরও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ উইকেটে পেসার কেমার রোচকে সঙ্গে নিয়ে ৫৫ রানের জুটি জোসেফ।
এরপর নাথান লায়নের বলে জোসেফ আউট হতেই ক্যামেরা ফেরে স্মিথের দিকে। তিনি কী করছেন? স্মিথ ভুলে যাননি, তিনি এখন ওপেনার। যা করার সেটাই করেছেন। দৌড়ে ছুটেছেন ড্রেসিংরুমের দিকে। তৈরি হয়ে এরপর চেনা ভঙ্গিতে শ্যাডো করতে করতে ক্রিজে গেছেন।
বোলিং প্রান্তে রোচকে দেখেই কি না কে জানে, টেস্ট ক্যারিয়ারে কখনো আউট না হওয়া এই পেসারের বিপক্ষে নিলেন স্ট্রাইকও। স্মিথ প্রথম বলেই খেললেন শাফল করে। একইভাবে পরের দুই বলও। ওপেনার হিসেবে প্রথম রানটাও এসেছে শাফল করে বল মিডউইকেট ঠেলে দিয়ে। আলজারি জোসেফের বলে দুটি বাউন্ডারিও মেরেছিলেন। তবে স্মিথের গল্পে বড় অনুঘটক হয়ে দেখা দেন জোসেফ। প্রথমবার বল হাতে নিয়েই ফিরিয়ে দেন স্মিথকে। পরে অবশ্য মারনাস লাবুশেনকেও ফিরিয়েছেন জোসেফ।
প্রথম শ্রেণিতেও এর আগে কখনোই ওপেন করেননি স্মিথ। আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্যারিয়ারে স্মিথ সবচেয়ে ওপরে ব্যাট করেছেন ৩ নম্বরে। এই পজিশনে ২৯ ইনিংসে ৮ শতক তাঁর, ব্যাটিং গড় ৬৭.০৭। ৪ নম্বরে ১১১ ইনিংসে শতক ১৯টি, গড় ৬১.৫০। ৫ নম্বরে ২৬ ইনিংসে সেঞ্চুরি ৪টি, ব্যাটিং গড় ৫৭.১৮।